স্বাধীনতা পূর্ববর্তী কাল থেকে যেই সরকারি সংস্থা এই ভূখণ্ডে বেসরকারি পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ায় সহায়তা করতে শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বৈষয়িক ও সমর্থনমূলক সহায়তা প্রদান করে চলেছে তাকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা বলে। বেসরকারি পর্যায়ে ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নের দায়িত্ব এই প্রতিষ্ঠানের ওপর ন্যস্ত । বিসিকের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় শিল্প সহায়ক কেন্দ্র, শিল্প নগরী, নৈপুণ্য বিকাশ কেন্দ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও নকশা কেন্দ্রের মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষত জেলা শহরের কাছে বিসিেিকর ৭৪টি শিল্প নগরী রয়েছে। যাতে শিল্প প্লটের মোট সংখ্যা ৯,৭৮৫টি। উক্ত সময় পর্যন্ত ৫,৬৯৮টি শিল্প ইউনিটের বিপক্ষে পুটগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৪,২৭৮টি শিল্প ইউনিট উক্ত সময়ে উৎপাদনরত ছিল। কর্মরত শিল্প ইউনিটে এ সময়ে কর্মরত জনশক্তির সংখ্যা ছিল ৩৫ লাখ। বিসিক উপকূলীয় এলাকায় লবণ চাষীদের উৎপাদন কাজেও সহায়তা করছে। সাভার ও কেরাণীগঞ্জে দু'টি চামড়া শিল্প নগরী গড়ে তোলার কাজ এগুচ্ছে। মুন্সীগঞ্জে ওষুধ শিল্প পার্ক এবং সিরাজগঞ্জে বিসিক শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যাবলি নিম্নরূপ :